5 Simple Statements About poddoja Explained

ফরিনা ধীরে ধীরে চোখ খুললেন। চোখের দৃষ্টি ঘোলা। কিছু মুহূর্তের ব্যবধানে বয়সের তুলনায় একটু বেশিই যেন বয়স্ক দেখাচ্ছে। ফরিনা কিছু একটা বললেন। লতিফা বুঝলো না। সে নত হয়ে ফরিনার মুখের কাছে নিজের মুখ এনে বললো,’কী কইছেন খালাম্মা?’

আলোছাঁয়ার ঘোলাটে জাহানে বসবাস করা কৃষ্ণবর্ণের ঐন্দ্রজালিক চন্দ্রের জীবনে নির্মল, সুরূপা পদ্মর আকষ্মিক পদার্পণ কী পারবে অমানিশার সাথে সাথে চন্দ্রের অবশিষ্ট কলঙ্কও মুছে দিতে? নাকি সে অনুরাগের বাঁধনে শুকতারা হয়ে কলঙ্কিত চন্দ্রের কাছাকাছি থেকে যাবে আজন্ম!

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই

খেতে থাকল । হেমলতা মেয়েকে সহজ কণ্ঠে বললেন, ‘তাড়াহুড়ো করছিস কেন?

রাজা সব রকম পট্টি বেঁধে দিল পদ্মবতীর চোখে। পদ্মবতী সেই পট্টিসমূহ ভেদ করে পৌঁছাতে পারলো না গভীরে! ভালোবাসার বেড়াজালেই আটকে রইলো।

সেদিন শরৎ হেমন্তের সন্ধিক্ষনে নির্জন নিশীথে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় বিলের পদ্মের সঙ্গে ঘটে পূর্ণিমার চন্দ্রের প্রথম সাক্ষাৎ। হঠাৎ স্বচ্ছ জলে প্রতিবিম্বিত হয় কারো আবছায়া। কখনো তা বিশদ আভায় মোহময়... আরো পড়ুন

___________ আমি পদ্মজা পর্ব ১ ___________ সন্ধ্যা কাটতেই বিদ্যুৎ চলে গেল। কয়েক মাস হলো গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। আট গ্রাম মিলিয়ে অলন্দপুর। তাঁদের গ্রামের নাম আটপাড়া। প্রতিদিন নিয়ম করে সন্ধ্যারাত থেকে তিন ঘন্টা গ্রাম অন্ধকারে তলিয়ে থাকে। আর সারাদিন তো বিদ্যুৎ-এর নামগন্ধও থাকে না। বিদ্যুৎ দিয়ে লাভটা কী হলো?

কিন্তু এতো রাতে আসা একদম ঠিক হয়নি। হ্যাঁ আমারও ঠিক হয়নি। আমরা কেউই আর ভুল করবো না। ঠিক আছে?'

আমার চোখের মণি পদ্মজা,তোমার ওই দুচোখের অবিশ্বাস্য চাহনি আমাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। আমার কথা হারিয়ে যায়। আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। খারাপের মাঝেও ভালো থাকার মন্ত্র ছিল তোমার দৃষ্টি। সেই দৃষ্টিতে যখন ঘৃণা দেখতে পাই,আমার বুক পুড়ে যায়। আমার মস্তিষ্ক ফেটে যায়!

পদ্মজা বললো,' না মা,আমি আর তোমার লুতু খালামনি আছি। বই website পড়তে বলেছিলাম পড়া হয়েছে?'

পদ্মজা ফিক করে হেসে ফেললো। বললো,’পুলিশ হয়ে ক্রাইম কিংয়ের জন্য কাঁদছেন!’

ফরিনা কাশতে থাকলেন। উত্তেজিত হওয়াতে শরীরের হাড়ে,হাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভব হচ্ছে। কেউ যেন কাঁটাচামচ দিয়ে একটার পর একটা ঘা দিচ্ছে। লতিফা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ফরিনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,’খালাম্মা,আপনি চিল্লাইয়েন না। আপনের ক্ষতি হইবো।’

নুহাশ ঠোঁট টিপে হাসলো। আলিয়া ভুল করলে তার ভালো লাগে। নুড়ি রান্নাঘরে গিয়ে পদ্মজাকে বললো,' মা,আমি সাহায্য করবো?'

হানিফ বারান্দা পেরিয়ে বড় ঘরে ঢুকে বলল, ‘তোমার ছেড়িগুলান কই তে?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *